আজ যে আব্বু আম্মুর বিবাহ বার্ষিকী খেয়ালই ছিলনা।গত রাতে কত প্লান করেছিলাম সকালে উঠে এটা সেটা ওটা কিন্তু কোনটাই হলনা ।যেহেতু দূরে আছি সেহেতু চেয়েছিলাম আজকের দিনটায় অন্তত মনের দিক থেকে দূরত্বটা কমানর কিন্তু হল না।সন্ধ্যায় ফোন দিলাম অপরাধি চিত্তে কিন্তু নিমিত্তে সব ম্লান হয়ে গেলো কিছু তিক্ত ওঁ তীক্ষ্ণ উক্তিতে।ফোনটা রেখে কিছুক্ষন কি যেন কি সব ভেবে চোখে চশমাটা গুজে বসে পরলাম পিসির সামনে আবার।কাজের মুডটাই সমুলে বিনষ্ট হল অকালে ।যাই হোক টেম্পেলেট টা আধা ক্যাঁচরা করে শেষ নামলো অবশেষে।হয়ত আজ ওঁ শেষ নামত না কিন্তু নামাতে যার কৃতিত্ব উহা সন্ধ্যার ফোন কল।
ফোনটা বাজছে মনটা কাঁদছে। রিসিভ করলাম বিরক্ত চিত্তে। মুন্তাকিম ভাইয়া আমার চাচাত ভাই হলেও আপন সহোদরের চেয়ে কম কিছুনয় তবুওঁ মাঝেমাঝে ok কেন জানিনা আমার শত্রু মনে হয়।ফোনে ঢাকাইয়া টোনে তড়বড় করে কি যে আওড়ালো বুজলাম না শুধু হুম হুম করে সায় দিয়ে গেলাম।ফোন কেটে দিলাম।রাত তখন ৯/৩০ কি৪০।
সারাদিন রুমে। স্কুলফেন্ড,কলেজফ্রেন্ড,কচিংফ্রেন্ড এইফ্রেন্ড সেইফেন্ড কত ফ্রেন্ডের শুভেচ্ছা সেকেন্ডেসেকেন্ডে। ফোন,এমেমেস বা এসেমেসে।ধুর হ……….এক কথার মাঝে আরেক কথার ডিম্পাড়া অভ্যাস এখন গেলনা অথচ মধ্যপ্রদেশের চুল দেঢ়াতি “হইয়া” গেলো।হিঃহিঃ।
অকারনে হিঃহিঃ করন আমার অভ্যাসে নাই অতি কষ্টে আর অতি আনন্দে হিঃহিঃ করি, আজকের হিঃহিঃ, কষ্টের হিঃহি……… হরিষের নয়। এসব অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার একটা সুচতুর উদ্দেশ্য আছে।”তাহা হইল,এইসকল আলচনার আড়ালে আমি মনে করিবার চেষ্টা করিতেছিলাম ভ্রাতা কি বলয়াছিল ফোনে, এবার মনে পরিয়াছে এ অধমের্…………………হিঃহি;।
ভাইয়া যা বলেছিল তার সারমর্ম বা সারাংশ এতুকুই যে,সে হাসপাতালে। “ইহা শুনিয়া পাঠক কিংবা শ্রোতার তিলার্ধ বিচলিত হইবার কারন নেই কারন সে রুগী হইয়া নয় রুগির অবিভাবক হইয়া হাসপাতালে অবস্থান করিতেছেন”……হিঃহিঃ……
ভাইয়া আড়াল করলেও আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য অনুযায়ী রোগী ভাইয়ার ইয়ে। বিষয়টি হাস্যকর হলেও গুরুতর।”জানা গিয়াছে আজিকের মঙ্গলশভা যাত্রা উপলক্ষে কি একটা করিবার সময় উচুথেকে পড়িয়া এই অনর্থক অমঙ্গল ঘটিয়া গিয়াছে”…হিঃহিঃ……
ভাইয়ার “ইয়ের” রক্তের গ্রুপ AB+ যা আমার সাথে সেম টুঁ সেম…… এই কারনেই ভাইয়ার তাড়া। হায়রে মঙ্গলশোভা যাত্রা!!!!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
প্রজ্ঞা মৌসুমী
আমার কাছে একটু অগোছালো লেখাই মনে হচ্ছিল। বিবাহবার্ষিকীর পরে আবার সারাদিন সেকেণ্ডে সেকেণ্ডে কিসের শুভেচ্ছা দেয়া হলো বুঝতে পারলাম না। তারপর মনে হলো পহেলা বৈশাখ নাকি! সে যাক, সুচতুর উদ্দেশ্যটা অবশ্য ভালো লেগেছে। মুন্তাকিম ভাইকেতো নরম হৃদয়ের মানুষ মনে হলো; বেচারাকে কেন শত্রু মনে করা হয়? শুভ কামনা
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।